জামালগঞ্জ উপজেলাকে নিয়ে একটি বহুল আলোচিত প্রবাদ রয়েছে। পবাদটি হলো ' মাছ বালি ধান জামালঞ্জের প্রাণ। জামালগঞ্জে রয়েছে বড় বড় হাওর। এসব হাওরে শুকনার সময় ফলে প্রচুর ধান আর বর্ষায় পাওয়া যায় মিঠা পানির বিভিন্ন সুস্বাদু মাছ। আর জামালগঞ্জের বালি পাথর দিয়ে তৈরি হয় দেশের বড় বড় স্থাপনা একথা সবার জানা।
জামালগঞ্জ উপজেলা একটি ঐতিহ্যবাহী হাওড়বেষ্টিত উপজেলা এবং রয়েছে অনেক বিলবাদল। যা জাতীয় অর্থনীতিতে খাদ্যও আমিষের যোগান দেয়। অনেক জ্ঞানী গুণী ব্যক্তিত্বের জম্মস্থান। সাচনা বাজার বৃটিশ শাসনামাল প্রসিদ্ধ বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত চিল ।
বাংলাদেশ ষড় ঋতুর দেশ এবং হেমন্ত ঋতুর প্রভাবই এখানে সমধিক। এ এলাকা বৎসরে ৬/৭ মাস থাকে পানিতে নিমজ্জিত। তখন ‘সিন্ধুর টিপ সিংহল দ্বীপের’ ন্যায় পানির উপর ভেসে থাকে গ্রাম গুলো। সে সময় মৌসুমী বায়ূ প্রবাহে সৃষ্ট রুমঝুম বৃষ্টি, শন্শন্ হাওয়ার করুন কাতরানী বেদনায় বিমর্ষ করে তুলে গ্রামবাসীকে। স্থানীয় ভাষায় এ হেন প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে বলা হয় ‘বয়ার’ বা ‘আফাল’। যেমন- মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়া, প্রবল ঝড়-বৃষ্টি, প্রচন্ড বেগে বহমান দমকা বাতাসের কারনে ভেঙ্গে যায় ঘর-বাড়ি, হাওরে নৌকাডুবিতে ঘটে প্রানহানী। সে সময়কার অলস বর্ষায় গ্রামীন মানুষের ছিলনা কোন কাজ। তখন তারা বলতেন-“কাজের মধ্য দুই, খাই আর শুই”।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস